বাংলাদেশের এই প্রজন্মের পপ শিল্পীদের মধ্যে ঈর্ষণীয় জনপ্রিয় অবস্থানে যদি কেউ থেকে থাকে তাহলে তিনি হলেন কণ্ঠশিল্পী মিলা। বিশ্বজুড়ে রক শিল্পীদের জীবনে নানা চড়াই উতরাই থাকে। মিলা এই ব্যাপারে অনেক সাবধান থাকার চেষ্টা করলেও তার জীবনেও নানা চড়াই উতরাই গেছে।
নেতিবাচক একটি বিষয়ের জন্য তাকে নিয়ে সমালোচনা ছিল মিডিয়াপাড়ায়। কিন্তু সেই জায়গা থেকে তিনি নিজেকে খুব সুন্দরভাবে উৎরিয়ে এনেছেন।গানের জগতে যখন তার খুবই ভালো অবস্থা তখন থেকেই তিনি সংসার জীবন শুরু করেন। তারপর থেকে গানের জগতের মানুষ তার সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে পারত না। নানা কারণে তার স্টেজ শোসহ বিভিন্ন গানের কাজে সিডিউল ঘাপলা শুরু হয়ে যায়।
এ নিয়ে মিডিয়াতে অনেকেরই আফসোস ও আক্রোশ ছিল যে মিলার মতো এতো জনপ্রিয় একজন নিজের প্রতি খেয়ালী হলে আরও ভালো করতে পারত। যখনই মিলা এই সমস্যা কাটিয়ে মিডিয়াতে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে যাচ্ছিল তখনই তার স্বামীর সঙ্গে সমস্যা শুরু হয়।
তার স্বামী তাকে নির্যাতন শুরু করে। এ নিয়ে মামলা হামলায় জড়িয়ে যান মিলা। তারপর থেকেই তার স্বামী তার মামলায় জেলে যায়। এরপর হয় ডিভোর্স।
সেই সাবেক স্বামী জেল থেকে বের হওয়ার পর মিলার জীবনকে নানা ভাবে অতিষ্ঠ করে তুলল। মিথ্যা মামলায় মিলার বাবা সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে নানাভাবে হয়রানি করে নানাভাবে মিলাকে নাস্তানাবুদ করার চেষ্টা করে তার স্বামী। আইনি প্রক্রিয়ায় এসব সমস্যা মিলা যতবারই কাটিয়ে ওঠে ততবারই তাকে আবার মামলা হামলার জালে ফেলে তার সেই সাবেক স্বামী।
এতকিছুর মাঝেও মিলা ‘এই শালা’ নামের একটি গান প্রকাশ করেন। সেই গানটিও ভালোই আলোড়ন তুলে। তখন সবাই মনে করেছিল যে মিলা হয়ত এবার গানের জগতে স্থায়ী আসন গড়বে। কিন্তু করোনার আগ্রাসন বেড়ে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মিলা গানে আশানুরূপভাবে ফিরতে পারেননি।
অবশ্য এটাও ঠিক যে তিনি গত দেড় বছর ধরে করোনায় আক্রান্তদের সাহায্যার্থে নানারকম চ্যারিটেবল কাজে যুক্ত আছেন। তবে মিলা ভক্ত ছাড়াও গানের জগতে সবার আশা বাংলাদেশের রক গানে মিলার ভালো অবদান রাখার ক্ষমতা আছে। তার উচিত হবে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা।